জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হাওড়পাড়ের মেয়েটির ম্যাজিস্ট্রেট হওয়ার গল্প!

পায়রা চৌধুরীর শৈশব কেটেছে হাওরপাড়ে। তিনি ময়মনসিংহের আনন্দমোহন কলেজে পড়াশোনা করেছেন। এবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৩৬তম বিসিএসে প্রশাসন ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন পায়রা চৌধুরী।
নেত্রকোনার মদনে হাওরের প্রত্যন্ত অঞ্চল ফতেপুর গ্রামে কবুতরের জন্ম হয়। তিনি সাবেক চেয়ারম্যান সাবল চৌধুরীর মেয়ে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হয়ে প্রশংসার জোয়ারে ভাসছেন পায়রা চৌধুরী।
তিনি ময়মনসিংহের আনন্দমোহন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে 2015 সালে অনার্স এবং 2017 সালে স্নাতকোত্তর পাস করেন। পায়রা চৌধুরীর স্বপ্ন ছিল প্রশাসন ক্যাডার হওয়ার। তার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে।
পায়রা চৌধুরী বলেন, আমার প্রয়াত অ্যাডভোকেট চাচা মইনুল হক চৌধুরীকে দেখেই বুঝেছিলাম মানুষের ভালোবাসা কী! তখন থেকেই বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডার হওয়ার দাবি ওঠে।
আমার স্বপ্ন বাস্তবায়নের এই কঠিন পথ চলার জন্য আমি আমার বাবা-মা, ভাই, বোন এবং শিক্ষকদের কাছে চির কৃতজ্ঞ। আমি চাই এই অ্যাডমিন ক্যাডার আমাকে আমার পূর্ব পুরুষদের একজন যোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে গড়ে তুলতে পারে।
পায়রা চৌধুরী আরও বলেন, বিসিএসের ফল প্রকাশের পর রোল দেখে আমি কেঁদে ফেলেছিলাম। শরীরে শক্তি পাচ্ছিলাম না। সবাই ভেবেছিল আমি জ্ঞান হারাবো। মা বাবাকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেললাম। আমি আমার দীর্ঘ লালিত স্বপ্নের বাস্তবায়নে যতটুকু অশ্রু জমা করেছিলাম ততটুকুই ঝরতে চেয়েছিলাম।
কিন্তু তখন মনে হলো আমি কিছু না বললে আমার বাবা-মা ভাববে আমি ফেল করছি। এতে স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই আমি জোরে হেসে বললাম আপনার মেয়ে অ্যাডমিন ক্যাডার হয়েছে।
তিনি চান অ্যাডমিন ক্যাডার আমাকে জনগণের জন্য কিছু করার সুযোগ দিন।
সৌজন্যে: ক্যাম্পাসলাইভ