বিনোদন

নতুনদের জন্য BCS লিখিত প্রস্তুতি নির্দেশনাঃ শুভ্র দেব(এ.এস.পি)

@শুভ্র দেব

সহকারী পুলিশ সুপার, ৩৮ বিসিএস।

এবার “অটোপসি” হবে বিসিএস লিখিত প্রিপারেশনের। আমার কোন টেকনিক্যাল ক্যাডার ছিলো না, তাই শুধু জেনারেল ক্যাডার নিয়েই হবে আমার এই “রিটেন অটোপসি”।

বাংলা-২০০, ইংরেজি-২০০, গণিত-৫০, মানসিক দক্ষতা-৫০,বাংলাদেশ বিষয়াবলী-২০০, আন্তর্জাতিক-১০০, বিজ্ঞান-১০০ মিলে মোট ৯০০ মার্কের রিটেনকে এক পোস্টে লিখতে গেলে মোটামুটি একটা মহাকাব্য হয়ে যাবে। সেদিকে না গিয়ে রবি ঠাকুরের ” শেষ হইয়াও হইলো না শেষ” ছোটগল্পে Inspired হয়ে মোট তিন কিস্তিতে করে ফেলবো এই অটোপসি।

★প্রথম কিস্তিঃ- “বাংলা এবং English: দ্য জায়ান্টস”

বিসিএস রিটেনে বাংলা যদি হয় কিং কং তাইলে ইংলিশ হচ্ছে গডজিলা। খেলা জমিয়ে দেয় এই দুই জায়ান্টস।

★ “দ্য কিং কং- বাংলা”★

★ যা যা বই পড়তে হবেঃ

১. ৯ম-১০ম শ্রেণির বাংলা ব্যাকরণ বই।

২. এসিউরেন্স লিখিত গাইড।

৩. মোহসীনা নাজিলার “শীকর সাহিত্য সমালোচনা” গাইড।

★যা যা করতেই হবেঃ

√ বাংলা প্রথম পার্টে ১০০ মার্ক। প্রিলিমিনারির পড়াটা এখানে কাজে লাগাতে হবে সাথে এসিউরেন্স গাইড হতে পড়ে ফেললেই এনাফ। এই পার্টে To the Point এ উত্তর করতে হবে। যেমন; মাইকেলের তিনটা বইয়ের নাম চাইলে তিনটা লিখলেই ৩ মার্ক পাওয়া যাবে, রস-কস মিশাইতে গেলেই টাইম কনজিউমিং হয়ে যাবে।

√ ভাবসম্প্রসারণে কালার পেন দিয়ে কোটেশন ইউজ করলে ভালো মার্ক পাওয়া যাবে। English Translation পড়ার সময় বাংলার অনুবাদ প্রাকটিস হয়ে যায়, আলাদা Effort দেয়ার দরকার নাই। সাহিত্য সমালোচনা ৫-৬ টাইপ পড়ে নিলে নির্ভার থাকা যাবে। যেমনঃ মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক, ভাষা আন্দোলন ভিত্তিক, বঙ্গবন্ধুর লেখা, গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য নিয়ে প্রভৃতি। আবেদন পত্রের জন্য শুধু Format দেখে নিতে হবে, ঠাডা মুখস্থ করলে মাথায় ঠাডা পড়ার সম্ভাবনা প্রবল।

√ খুব দ্রুত লেখার অভ্যাস করতে হবে। ৪ ঘন্টায় ২০০ নম্বর, তার মধ্যে রচনায় ৪০ মার্ক। কাল্পনিক সংলাপটা নিজের মতো করে গুছিয়ে লিখতে হবে। অন্তত শেষ ১ ঘন্টা রচনার জন্য বরাদ্দ রাখতে হবে।

√ বাংলা রচনা এবং English কম্পোজিশনে মোট ৯০ mark। একই সাথে প্রিপারেশান নেয়া যায়। যেমন আমি নোট খাতায় মোট ১২টা টপিক ইংরেজি ভার্সনে নোট করে নিয়েছিলাম। লাইক পরিবেশ, পদ্মা সেতু, নারীর ক্ষমতায়ন….. এখন এই টপিক গুলার জন্য শুধু Data, Quotation, Graf, table etc. নোট খাতায় নোট করে রেখেছিলাম। বাংলা রচনায় বাংলায় অনুবাদ করে লিখতাম, ইংরেজি পরীক্ষার দিনে ইংলিশে। ডাটা-কোটেশন-টেবিল সমৃদ্ধ রচনা ১২-১৩ পেইজ হইলেই আদর্শমান বহন করবে। Quotation অবশ্যই নীল কালির কলম দিয়ে লিখতে হবে। ডেটা কোটেশন পাওয়ার সোর্সঃ BER, ডেইলি পত্রিকা, গাইড এবং গুগল মআমা। ভালো প্রিপারেশান নিয়ে এই জায়ান্টকে মোকাবিলা করতে পারলে ১৪০-১৫০ মূল্যবান নম্বর এনে দিবে যা কাঙ্ক্ষিত ক্যাডার পাওয়ার অন্যতম ক্যাটালিস্ট।

“দ্য গডজিলা- ইংরেজী”

যে বই ফলো করা যায়ঃ

১. এসিউরেন্স অথবা প্রফেসরস লিখিত গাইড।

২. সাইফুর’স + জিআরই ভোক্যাবুলারি।

৩. প্রিলির জন্য অনুসৃত বই।

★যা যা করতে হবেঃ

√ প্যাসেজটা পড়ার আগে আমি ১০ টা কোয়েশ্চেন ২বার পড়তাম। দ্যান প্যাসেজ পড়ে মূলভাবটা বুঝতাম। সহজ সাবলীল ভাষায় লিখতে হবে। গ্রামার পার্টে সর্বোচ্চ নম্বর আনার চেষ্টা করতে হবে। মোট ৪ ঘন্টার পরীক্ষা, ১ ঘন্টা Composition এর জন্য বরাদ্দ রাখতে হবে।

√ ১৫/২০ মার্কের একটা কোয়েশ্চেনে ১০০ ওয়ার্ডে প্যাসেজের জিস্টটা জানতে চায়। এখানে বাড়তি কথা লেখা যাবে না কিংবা নিজের মতামত দেয়া যাবে না। প্যাসেজে যা আছে তাই ১০০ ওয়ার্ডে লিখতে হবে।

√ “লেটার টু দ্য ইডিটর” বাংলার মতই।

√ অনুবাদ ও ট্রান্সলেশন খুবই ভাইটাল। গাইড এবং পত্রিকা থেকে অন্তত দুটা ফিচার প্রতিদিন প্রাকটিস করতে হবে।

√ কম্পোজিশনের ট্যাকটিকসটা উপরের কিং কং পার্টেই ব্যবচ্ছেদ করে ফেলেছি।

আমি খেয়াল করেছি, ইংলিশে প্রায় সবাই ১০০-১২০ পাওয়ার আশা নিয়ে পরীক্ষা দিতে যায়। কিন্তু আপনি যদি কোনমতে ১৩০-১৪০ মার্ক পাওয়ার মতো পরীক্ষা দিয়ে আসেন তবেই আপনি অমাবস্যার চাঁদ হাতে পেয়ে যাবেন।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button