পেলের মৃত্যুতে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ব্রাজিলে

ব্রাজিলিয়ান ফুটবল সম্রাট পেলে, কেউ বলেন ফুটবলের রাজা, সর্বকালের সেরা, কারো কাছে আবার কালো মানিক। বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) সাও পাওলোর আলবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ফুটবল সম্রাট পেলে। এই কিংবদন্তির মৃত্যুতে ৩ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছেন ব্রাজিলের বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জইর বোলসোনারো।
ব্রাজিলের জেতা ৫ শিরোপার তিনটিই এসেছে পেলের সময়ে। ব্রাজিল ১৯৫৮, ১৯৬২ ও ১৯৭০ সালে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। পেলে ছিলেন দলের অন্যতম প্রাণভোমরা। তিনি ব্রাজিলকে নিয়ে গিয়েছেন অনন্য উচ্চতায়। এমন একজন খেলোয়াড়কে হারিয়ে শোকে মুহ্যমান ব্রাজিলবাসী। পেলের মৃত্যুতে তাই তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে।
এক আবেগময় বার্তায় ব্রাজিলের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট লুইস ইনাসিও লুলা দ্য সিলভা বলেন, আমার জীবনে সবচেয়ে বড় পাওয়া আমি পেলের খেলা দেখেছি। পেলে যখন খেলতো, তখন মাঠে অন্যরকম একটা মুহূর্ত সৃষ্টি হতো। মুগ্ধতা ছড়িয়ে যেত। যখন সে বল পেতো, মনে হতো একটা কিছু হবে। প্রায় সময় সে গোল পেতো।
ফুটবল বিশ্বের সবচেয়ে বড় নক্ষত্রের পতন হয়েছে। পরলোকগমন করেছেন কিংবদন্তি পেলে। তার মৃত্যুতে শোকাহত গোটা ব্রাজিল। কালো মানিকের জন্য দেশটিতে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার পেলের মৃত্যুর পর ব্রাজিল সরকার রাষ্ট্রীয় শোকের ঘোষণা দেয়। এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘কিংবদন্তি ফুটবলার এডসন আরান্তেস দো নাসিমেন্তো পেলের মৃত্যুতে সারাদেশে তিন দিনের আনুষ্ঠানিক শোক ঘোষণা করা হলো।’
‘দ্য ব্রাজিলিয়ান রিপোর্ট’র প্রতিবেদনে বলা হয়, আজ (শুক্রবার) ব্রাজিল সরকার শোক পালনের দিনক্ষণ নির্ধারণ করে দেবে।
পেলের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন ব্রাজিলের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট লুইস ইনাসিও লুলা দা সিলভা। ফুটবল রাজার নান্দনিক ফুটবল ক্যারিয়ার স্মরণ করে তিনি বলেন, ‘আমার জীবনের বড় পাওয়া আমি পেলেকে খেলতে দেখেছি। পাচায়েম্বু ও মোরুম্বিতে তাকে জীবন উপভোগ করতে দেখেছি, যা আজকের তরুণ ব্রাজিলিয়ানরা পায়নি। পেলেকে দেখতাম মাঠে দারুণ শো উপহার দিতেন। কারণ যখন সে বল পেতেন, সবসময়ই বিশেষ কিছু করতেন, যা প্রায় সময়ই গোল দিয়ে শেষ হতো।’
সাও পাওলোর গভর্নর অফিসের প্রেস রিলিজে বলা হয়, ‘সবসময়ের শ্রেষ্ঠ অ্যাথলেট ফুটলের রাজা পেলে। একমাত্র তিন বিশ্বকাপ জয়ী তারকা নিজের খেলার মাধ্যমেই মহান প্লেয়ারের তকমা পেয়েছেন।
তিনি ভালো নাগরিক এবং দেশ প্রেমিকও ছিলেন। বিশ্বের যে প্রান্তেই গিয়েছেন ব্রাজিলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন পেলে।’
সাও পাওলোর গভর্নর রদ্রিগো গার্সিয়া বলেন, ‘ব্রাজিল ফুটবলের গৌরবান্বিত অধ্যায়ের অন্যতম সেরা নাম পেলে। মিনাস জেরাইসে জন্ম নিলেও সাও পাওলোর সঙ্গে তার আত্মার সম্পর্ক রয়েছে।’