প্রত্যন্ত গ্রামের ৪র্থ শ্রেণি পাশ মহিলা পাড়ি দিয়েছেন ইউরোপে, চাকরি দিয়েছেন ২২০০০ মহিলাকে!
ভারতীয় মহিলারা কঠোর পরিশ্রম এবং সাহসের উদাহরণ। তারা শুধু ঘর এবং পরিবারের যত্ন নিতে পারে না; তারা জানে কিভাবে পুরুষদের মত পরিশ্রম করতে হয়। আমাদের সমাজে অনেক নারী আছেন যারা তাদের কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে অনেকের অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছেন।
কীভাবে একজন মহিলা তার জীবনে সফলতা পেতে পারেন এবং একটি সাধারণ ঘর থেকেও বিদেশে যেতে পারেন তার গল্প আমরা আপনাকে বলতে যাচ্ছি।
আজ আমরা যার কথা বলছি তিনি হলেন রাজস্থানের বাসিন্দা রুমা দেবী।
রুমা দেবীর দুটি ছবি দেখলে মনে হবে যে; এই দুই নারী ভিন্ন, কিন্তু মোটেও নয়।
প্রথম চলচ্চিত্রটি তার জীবন সংগ্রাম নিয়ে এবং দ্বিতীয় চলচ্চিত্রটি তার জীবনের সাফল্য নিয়ে। রুমা দেবীর জীবনে অনেক দ্বন্দ্ব আছে। ছোটবেলায় তার বাল্যবিবাহ হয় এবং তারপর থেকেই তার জীবনে সমস্যা শুরু হয়। অল্প বয়সে বিয়ে করার স্বপ্ন তার মনে রয়ে গেছে।
তবে নিজের মেধার জোরে সাফল্য পেয়েছেন তিনি। শাড়ি, চাদর, কুর্তা প্রভৃতি রাজস্থানী হস্তশিল্প তৈরিতে রুমা দেবী অত্যন্ত দক্ষ ছিলেন। তাঁর পোশাক শুধু আমাদের দেশেই নয় বিদেশেও বিখ্যাত।
আজ, এটি ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে বার্মা, গেলসেমার এবং বিকানের জেলার প্রায় 75টি গ্রামের 22,000 মহিলাকে নিয়োগ করে৷
তাদের গ্রুপের মহিলাদের তৈরি পণ্য লন্ডন, জার্মানি, সিঙ্গাপুর এবং কলম্বোতে রপ্তানি করা হয়। লেখক নিধি জৈন হাসলে কা হুনার নামে একটি বই লিখেছেন।
সেই ‘হাসলে কা হুনার’ বইটিতে রুমা দেবীর জীবন সংগ্রাম থেকে শুরু করে তার সব সাফল্যের গল্প ভালোভাবে লেখা আছে।
বইটি বলে যে তার অক্ষমতা, যেমন তার সাক্ষরতা, সম্পদ এবং প্রযুক্তির অভাব সত্ত্বেও, রুমা দেবী তার কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে সাফল্য অর্জন করেছিলেন।
তিনি গ্রামের অন্যান্য নারীদেরও স্বাবলম্বী হওয়ার পথ দেখিয়েছেন।
নিজ গ্রামে অবস্থান করে সাফল্য অর্জন করা রুমা দেবীকেও বিদেশ ভ্রমণের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।
এ ছাড়া তারা হাজার হাজার নারীর কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিয়েছে। রুমা দেবীর কাজ প্রশংসনীয়।