মাত্র ৮হাজার টাকায় ব্যবসা শুরুঃ এখন মাসে বিক্রি লাখ টাকা!!
করোনা * বেঁচে থাকার লড়াইয়ে সাহস নিয়ে এগিয়ে চলেছেন নারী উদ্যোক্তারা। ঘরে বসে অনলাইনে হাতে তৈরি বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করে তারা সফল হচ্ছেন।
ই-কমার্সের মাধ্যমে স্বাবলম্বী হওয়া এসব নারীর তালিকাও কম নয়। সেই তালিকায় অন্যতম উজ্জ্বল নাম রুনা আহমেদ।
মাত্র কয়েক মাসে আচার তৈরি করে লাখ টাকারও বেশি বিক্রি করেছেন তিনি। নিজস্ব পেজ ‘হোমমেড কান্ট্রি প্রোডাক্টস’ এবং ই-কমার্স গ্রুপ ‘আমরা’ এর মার্কেট প্লেস।
মাত্র ৬ হাজার টাকা পুঁজি নিয়ে কাজ শুরু করেন। এই সামান্য পুঁজি দিয়েই তিনি তার কঠোর পরিশ্রম ও মেধাকে কাজে লাগিয়েছেন।
তার আচরণের গুণ ও অভিনবত্ব তাকে অন্যদের থেকে আলাদা করেছে। তিনি টক অমৃতের আচার, গরুর মাংসের আচার, কালো জিরার আচার, আমলকির মোরব্বা, আপেলের মোরব্বা, নাগা মরিচের আচার এবং লেবুর আচার তৈরি করেন।
তাঁর আচার-অনুষ্ঠানের তালিকায় যোগ হয়েছে ২১টি আচার। বাড়িতে ঘি ভাজা লাচ্ছা সেমাইও তৈরি করেন তিনি।
ঘরে বসেই প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিজেকে স্বাবলম্বী করেছেন রুনা। অনলাইন ই-কমার্স মার্কেট প্ল্যানে একাধিক আন্তর্জাতিক মাস্টার ক্লাসে অংশগ্রহণ করে ইতিমধ্যেই প্রত্যয়িত।
এমনকি তিনি বিভিন্ন অনলাইন ই-কমার্স ভিত্তিক কর্মশালায় অংশগ্রহণ করে নিজেকে সমৃদ্ধ করেছেন।
এই উদ্যোগের কথা বলতে গিয়ে রুনা আহমেদ বলেন, আমার লক্ষ্য হচ্ছে ঘরে তৈরি নির্ভেহ ফেক ফুডের জন্য একটি বিশাল ই-কমার্স প্লাটফর্ম তৈরি করা। যেখান থেকে সবাই ভালো মানের খাবার খেতে পারবে।
আমার মতো অনেক নারী সেখানে কাজ করে স্বাবলম্বী হতে পারেন। শুধু আচার নয়, সব ধরনের খাবার নিয়ে আমার প্রতিষ্ঠান দ্রুত কাজ করবে।
তিনি বলেন, আমাদের মতো নারীদের এই স্বপ্ন পূরণে সরকারের অনুগ্রহ প্রয়োজন। আর্থিক সহযোগিতা প্রয়োজন। প্রত্যেক নারী সৃষ্টিকর্তার কাছ থেকে বিশেষ রহমত লাভ করে।
আপনি অন্য লোকেদের প্রতি যে সহায়তা প্রদান করেন তার সাথে আপনাকে আরও বৈষম্যমূলক হতে হবে। নারীদের সুযোগ দেওয়া হলে তারা ঘরে বসে অনেক কিছু করতে পারবে। ‘
তথ্যসূত্র: জাগো নিউজ।