মাস্টার্স রেজাল্টের পর প্রস্তুতি শুরু করে বিসিএস ক্যাডার হয়েছেন সাবিনা!

সাবিনা ইয়াসমিন ৩৩তম বিসিএস পাস করে সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারে কর্মরত। পিতা মোঃ এ সালাম মোল্লা, মাতা রোকেয়া বেগম। তিনি পলাশবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মোহাম্মদপুর, মাগুরা, যশোর থেকে বিসিএস। আবদুর রাজ্জাক মিউনিসিপ্যাল কলেজ থেকে এইচএসসি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়েছেন। সম্প্রতি জাগো নিউজের সাথে তার বিসিএস জয়, ভবিষ্যৎ স্বপ্ন ও সাফল্যের গল্প শেয়ার করেছেন তিনি।
* আপনার শৈশব কেমন ছিল?
সাবিনা ইয়াসমিন: আমার শৈশব কেটেছে খোলা আকাশে উড়ে পাখির মতো। কাঁচা-পাকা বাড়ি, বাড়ির সামনে ছোট খাল, খালের ওপারে সবুজ মাঠ। এই ছবির মতো গ্রামীণ পরিবেশে বড় হয়েছি।
* পড়াশোনায় কোনো বাধা ছিল কি?
সাবিনা ইয়াসমিন: পড়াশোনায় কোনো বাধা ছিল না। বলা যায়, পরিবারের সহযোগিতায় আমার শিক্ষাজীবন অনেকটাই মসৃণ ছিল।
* কবে থেকে বিসিএসের স্বপ্ন দেখেছেন?
সাবিনা ইয়াসমিন: আসলে, মাস্টার্সের রেজাল্ট পাওয়ার আগেই আমার প্রথম বিসিএস ক্যাডার হওয়ার স্বপ্ন ছিল। যাই হোক, মাস্টার্সের রেজাল্ট দেওয়ার পর বিসিএস হয়ে গেল আমার স্বপ্ন, ধ্যান-জ্ঞান।
বিসিএস যাত্রার গল্প শুনতে চাই:
সাবিনা ইয়াসমিন: বিসিএস যাত্রার গল্পটা আমার কাছে সুখের নয়। প্রায় 80% শিক্ষার্থী অনার্স প্রথম বা দ্বিতীয় বর্ষ থেকে বিসিএসের জন্য প্রস্তুতি শুরু করে। সেখানে মাস্টার্সের রেজাল্টের পর থেকেই প্রস্তুতি নিতে লাগলাম। ব্যাপারটা আমার জন্য খুব একটা সহজ ছিল না। পরিকল্পনা ছিল প্রথম বর্ষ থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াবেন। অনার্সে প্রথম শ্রেণীতে তৃতীয় স্থান পেয়েছি। ফলে কিছু সম্ভাবনা তৈরি হয়। ফলস্বরূপ, তিনি তার একাডেমিক পড়াশোনার বিষয়ে গুরুতর হওয়ায় বিসিএসের জন্য প্রস্তুতি নেননি। কিন্তু মাস্টার্সের ফলাফল আশানুরূপ হয়নি। আমি বেশ হতাশ ছিলাম। ভাগ্য আমার পক্ষে ছিল না।
প্রথম শ্রেণী পেয়েও পিছিয়ে পড়ে অবস্থান অষ্টম। ফলে আমি হতাশ হয়ে পড়ি। কিন্তু আমার পরিবারের অনুপ্রেরণা আমাকে সবসময় সাহস জুগিয়েছে, বিশেষ করে আমার ভাই (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র) যিনি এখন একজন ব্যাংকার। তিনি আমাকে বিসিএস পরীক্ষা দিতে আগ্রহী করে তোলেন। বিসিএস প্রস্তুতির বই কিনতে টাকা দিয়ে নীলক্ষেত পাঠায়। সেই নীলক্ষেত যাত্রা থেকেই আমার বিসিএস যাত্রা শুরু।
* আপনি কি কারো কাছ থেকে অনুপ্রেরণা পেয়েছেন?
সাবিনা ইয়াসমিন: আমার পরিবারই আমার সব অনুপ্রেরণার উৎস। পরিবারের ছোট-বড় সবাই আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে।
* শিক্ষক হিসেবে আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
সাবিনা ইয়াসমিন: শিক্ষকতা পেশায় জড়িত থাকার পর থেকে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা; সেক্ষেত্রে এমফিল, পিএইচডি ডিগ্রি পাওয়ার ইচ্ছা আছে।