সংগ্রামী ৩ পাহা’ড়ি কন্যার বিসিএসের স্বপ্নজয়ের গল্প!
তাদের শৈশব কেটেছে পাহাড়ে। শৈশবের পর, তাদের স্বপ্ন * কৈশোরে বড় হতে থাকে। দুর্গম পাহাড় থেকেও তারা বিসিএস ক্যাডার হওয়ার স্বপ্ন দেখে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর তাদের স্বপ্নের দেখা মিলতে থাকে।
অবশেষে তারা স্বপ্ন দেখছে। এবার ৩৬তম বিসিএসে তিন পাহাড়ি মেয়েকে সুপারিশ করা হয়েছে*। এর মধ্যে আনসার ক্যাডারে একজন, প্রশাসন ক্যাডারে একজন এবং শিক্ষা ক্যাডারে একজনকে সুপারিশ করা হয়েছে। সবাই নিজের ও পরিবারের স্বপ্ন পূরণ করেছে। তারা হলেন- মাছিচিং মারমা, পাপিয়া বড়ুয়া ও ওনমেচিং মারমা।
মাচিচিং মারমা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। ৩৬তম বিসিএসে আনসার ক্যাডারে আধিপত্য পেয়েছেন রসায়নের শিক্ষার্থী। জাবি ছাত্র মাছিচিং মারমার বাড়ি খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার গুগড়াছড়ি গ্রামে।
৩৬তম বিসিএসে প্রশাসন ক্যাডারে সুপারিশ পেয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী আনমচিং মারমা। তার বাড়ি খাগড়াছড়ি সদর উপজেলায়।
এছাড়া ৩৬তম বিসিএসে শিক্ষা ক্যাডারে সুপারিশ* পেয়েছেন পাপিয়া বড়ুয়া। পাপিয়ার বাড়ি চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে। সে আব্দুল্লাহপুর গ্রামের মুকুন্দ বিহারী বড়ুয়ার মেয়ে। শিক্ষা ক্যাডারে দর্শন বিভাগে নেওয়া ৩৯ জনের মধ্যে পাপিয়া প্রথম হয়েছেন।
গত ৩০ জুন ৩৬তম বিসিএস পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এতে ক্যাডার পদে ২২০৪ জন প্রার্থী মনোনীত হয়েছেন। এছাড়া নন-ক্যাডারে ৬ হাজার ১৭৩ জন পরীক্ষার্থী পাস করেছে।