আন্তর্জাতিক

৩৭তমে শিক্ষা ও ৩৮তম বিসিএসে প্রশাসন ক্যাডার হলেন হুছাইন মুহাম্মদ!

হুসাইন মুহাম্মদ। ৩৬তম বিসিএসে তিনি প্রশাসন ক্যাডারে ১২৩তম হয়ে সুপারিশ পেয়েছিলেন*। তিনি ৩৬তম বিসিএসে শিক্ষা ক্যাডার এবং কুষ্টিয়ার মিরপুরের আমলা সরকারি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে প্রভাষক হিসেবে কর্মরত।

হোসেন মুহাম্মদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র ছিলেন। তিনি ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু ভালকি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং হাজী আরশাদ আলী ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন।

তার এই সাফল্য তার বাবা-মা, স্ত্রী এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছে। উপরন্তু, যেহেতু তাদের শিক্ষক একটি পরিবার, তাই তারা তাদের পড়াশোনা, বিশেষ করে তাদের চাচা এবং খালাদের দ্বারা সবচেয়ে বেশি অনুপ্রাণিত হয়েছে। তাকে তার ছোট চাচা মাগুরার যুগ্ম জেলা জজ শাহজাহান আলী এবং সেজোর চাচা শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলমও পথ দেখিয়েছিলেন। বন্ধুর মতো সব বিপদে পাশে আছেন তার চাচাতো ভাই ডা. রাজিবুল ইসলাম, প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম ও জাহিদুল ইসলাম।

হুসেইন মুহাম্মদ বিভিন্ন সেমিনারে মোটিভেশনাল স্পিকার হিসেবে যোগ দেন। সাফল্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, লক্ষ্য সামনে রেখে নিয়মিত প্রস্তুতি ও সৃজনশীল হতে হবে। বছরের পর বছর পড়তে হবে না।

বিগত বছরের প্রশ্ন সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। বিগত বছরের প্রশ্ন সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকলে পড়াশোনার চাপ অনেকটাই কমে আসবে। ব্রেন স্টর্মিংও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আপনাকে প্রথমে সিদ্ধান্ত নিতে হবে আপনি কোন সেক্টরে কাজ করতে চান বা কোন সেক্টরে কাজ করতে চান। একই সাথে গত বছরে ওই সেক্টরের নিয়োগ পরীক্ষায় কী ধরনের প্রশ্ন এসেছিল তাও জানা জরুরি।

তিনি বলেন, অনেকেই আছেন যারা শুধু বছরের পর বছর পড়ে যাচ্ছেন। কিন্তু আমি কী পড়ছি, কেন পড়ছি তার কোনো নির্দিষ্ট লক্ষ্য তাদের নেই। কোন সাবজেক্ট থেকে বেশি প্রশ্ন আসে এবং কোন সাবজেক্ট থেকে আসে তার কোন ধারণাই নেই তাদের। আমি যখন গত বছরের প্রশ্নটি নিয়ে গবেষণা করছিলাম, তখন আমি এই ধারণা নিয়ে এসেছি যে একটি প্রশ্ন কী হতে পারে এবং কী হতে পারে না।
বিভিন্ন সেক্টরে চাকরির পরীক্ষায় বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন আসে। সব পরীক্ষায় একই ধরনের প্রশ্ন থাকে না। তাই নিজেকে সেভাবে প্রস্তুত করতে হবে, বলেন হুসেইন মুহাম্মদ।

হুসেইন বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও দেশের বিভিন্ন কলেজ থেকে অনেকেই ক্যাডারসহ বিভিন্ন ক্যাডার হয়েছেন। প্রমাণ করার চেষ্টা করলে অনেক কিছুই সম্ভব।

সংগৃহীত এবং পরিমার্জিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button