৯ টি উপায়ে কিভাবে সুন্দর হওয়া যায় – রাতারাতি ফর্সা হওয়ার উপায়

কিভাবে সুন্দর হওয়া যায়

কিভাবে সুন্দর হওয়া যায়

কিভবে সুন্দর হওয়া যায়, রাতারাতি ফর্সা হওয়ার উপায়, দুই দিনে ফর্সা হওয়ার উপায়, ভেতর থেকে ফর্সা হওয়ার উপায়, ফর্সা হওয়ার জন্য নাইট ক্রিম, কি খেলে গায়ের রং ফর্সা হয়, চোহারা সুন্দর হওয়ার উপায়, চোহারা নষ্ট হওয়ার কারণ, চোহারা সুন্দর করার দোয়া, চোহারা সুন্দর করার আমল ইত্যাদি বিষয় নিয়েই আজকের আলোচনা চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক।

কিভবে সুন্দর হওয়া যায়?

বর্তমানে মানুষ যথাযথভাবে সময়ের ব্যবহার করতে জানে মানুষ। আর মানুষ এখন বুঝতে পারে যে সারা জীবন জীবিকার তাগিদে কাজ করা যতটা জরুরী শারীরিক সৌন্দর্য রক্ষা করাও ঠিক ততটা জরুরি। কারণ অর্থ আমাদের যতটুকু শক্তি বা সম্মান প্রদানে সাহায্য করে, সৌন্দর্য কিন্তু তার চেয়ে কম নয়। অর্থাৎ অর্থ ও সৌন্দর্য মিলে একজন মানুষকে পরিপূর্ণ ব্যক্তিত্বের অধিকারী করে তোলে এবং অন্য জনের কাছে নিজের মূল্য বৃদ্ধি করে। তাহলে চলুন কিভবে সুন্দর হওয়া যায় সেই বিষয়টা জেনে নেয়া যাক। সুস্থ,স্বাস্থ্যোজ্জ্বল শরীরের মালিক হতে গেলে নিয়মিত শরীরচর্চা করতেই হবে। জগিং থেকে শুরু করে ফ্রি হ্যান্ড ব্যায়াম, আপনি যেমনভাবেই শরীরচর্চা করুন না কেন সেই শরীরচর্চার মাধ্যমে দূরে রাখতে পারবেন একাধিক রোগব্যাধিকে। আর শরীল সুন্দর রাখার জন্য একটি বড় মাধ্যম হচ্ছে রোগব্যাধি মুক্ত শরীল । তাই আপানার শরীলকে সুন্দর রাখার জন্য অন্যতম বৈশিষ্ট হচ্ছে আপনার শরীলচর্চা । তাহলেই আপনি রাতারাতি ফর্সা হওয়া উপায় বা কিভবে সুন্দর হওয়া যায় দুটিই আপনার কাছেই ধরা দিবে।

আর পড়ুনঃ পাকিস্তানি ছেলেদের ইসলামিক নাম

রাতারাতি ফর্সা হওয়ার উপায়

প্রতিদিন মধুতে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে মুখে লাগালে বলিরেখা বা রিঙ্কলস পড়বে না এবং রাতারাতি ফর্সা হওয়ার উপায় পেয়ে যাবেন। এক চামচ গোলাপ জলে এক চামচ দুধ আর ২/৩ ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে মুখে মাখুন, দেখবেন আপনার মুখের উজ্জল ও রাতারাতি ফর্সা হওয়ার উপায় তৈরি হয়ে যাবে যা আপনি ভাবতেই পারবেন না ।

দুই দিনে ফর্সা হওয়ার উপায়
পরিমাণ মতো দইয়ে অল্প করে মধু এবং লেবুর রস মিশিয়ে একটা মিশ্রণ বানিয়ে ফেলুন। তারপর সেই মিশ্রণ ১৫ মিনিট মুখে মাসাজ করুন। এরপর মুখ ধুয়ে নিলেই দুই দিনে ফর্সা হওয়ার উপায় জানতে পারবনে। কারন মধু ত্বককে ভেতর থেকে সুন্দর করে তোলে আর লেবুর রস এবং দইয়ের মিশ্রণে উপস্থিত ভিটামিন-সি ত্বককে উজ্জ্বল এবং দুই দিনে ফর্সা করে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই আপনি এই মিশ্রণের মাধ্যমে প্রকৃতিক উপায়ে আপনি একটি দুই দিনে ফর্সা মুখের বা রাতারাতি ফর্সা হওয়ার উপায়ের অধিকারি হতে পারেন।

ভেতর থেকে ফর্সা হওয়ার উপায়

রূপচর্চায় দুধ ও কাঁচা হলুদের ব্যবহার যুগ যুগ ধরে হয়ে আসছে ভেতর থেকে ফর্সা হওয়ার জন্য । প্রতিদিন এক গ্লাস উষ্ণ গরম দুধে আধা চা চামচ কাঁচা হলুদ বাটা মিশিয়ে পান করলে ভেতর থেকে ফর্সা হতে পারবেন। এভাবে পান করতে না পারলে এর সঙ্গে মধু মিশিয়ে নিন। নিয়মিত হলুদ মেশানো দুধ পান করলে আপনার রং হয়ে উঠবে ভেতর থেকে ফর্সা যার জন্য আপনি পেয়ে যাবেন রাতারাতি ফর্সা হওয়া উপায়। দুধে কাঁচা হলুদ বাটা মিশিয়ে পান করলেও ভেতর থেকে ফর্সা হওয়া যায়। এভাবেও না পারলে করতে পারেন আরেকটি কাজ, দেড় ইঞ্চি সাইজের এক টুকরো হলুদ নিন। তারপর টুকরো করে কেটে এক গ্লাস দুধে দিয়ে ভালো করে ফুটিয়ে নিন। দুধে গাঢ় হলুদ রঙ ধরলে পান করুন। এভাবে প্রতিদিন একবার পান করলেই আপনার ত্বক ভেতর থেকে ফর্সা হয়ে যাবে ।

ফর্সা হওয়ার জন্য নাইট ক্রিম

ফর্সা হওয়ার জন্য নাইট ক্রিম
ফর্সা হওয়ার জন্য নাইট ক্রিম

বর্তমান বিশ্বে পনডন্স একটি জনপ্রিয় নাইট ক্রিম হিসাবে পরিচিত। এই পনডন্স ক্রিমটি নাইট ক্রিম হিসেবে পরিচিতি পেলেও এই ক্রিমটি শুধু যে একটি নাইট ক্রিম হিসাবে কাজ করে থাকে তা কিন্তু নয়। বরং, আপনার ত্বককে মশ্চোরাইজ ও রিপেয়ার করার পাশাপাশি ত্বকের উজ্জলতা বৃদ্ধি করতে কাজ করে থাকে। এটি নিয়মিত ব্যবহারের ফলে আপনার ত্বকের রং ফর্সা হয়ে যাবে এবং কিভবে সুন্দর হওয়া যায় সেই ‍বিষয়টি জানতে পারবেন।

আর পড়ুনঃ পবিত্র মাহে রমজান শ্রেষ্ঠ সময়

এক মাসে ফর্সা হওয়ার উপায়

আপনার ত্বকের রং এক মাসের ভিতর ফর্সা করতে চাইলে প্রতিদিন সকালে ছোট্ট কিছু রুটিন মেনে চলেই আপনার ত্বক ফর্সা হয়ে যাবে। আর সেই নিয়ম গুলো ভালো করে পালন করলেই মাত্র ৭ দিনে মধ্যেই লক্ষ্য করতে পারবেন কিছু পার্থক্য, ত্বকের রঙটা হয়ে উঠবে উজ্জ্বল । এক মাস টানা মেনে চললে দারুণ উজ্জ্বল আর এক মাসে ফর্সা হয়ে উঠবে আপনার ত্বকরে রঙ। কিন্তু কিভাবে? চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক।

ঘুম থেকে উঠেই এক গ্লাস হালকা গরম পানি খাবেন খালি পেটে। চাইলে সামান্য মধু মিশিয়েও খেতে পারেন। এক গ্লাস হালকা গরম পানি কেবল ত্বক নয়, আপনার বাকি দেহকেও সতেজ করে তুলবে। এবং আপনার পরবর্তী রূপচর্চার জন্য ত্বককে প্রস্তুত করবে ও এক মাসে ফর্সা হতে সাহায্য করবে।

মুখে ভাপ নিন। একটি হাঁড়িতে গরম পানি নিয়ে সেই বাষ্প মুখে লাগান কয়েক মিনিট। খুব বেশী কাছ থেকে বাষ্প লাগাবেন না। খুব বেশী উত্তাপও যেন না লাগে। মুখে ভাপ দেয়া হলে পরিষ্কার তুলো দিয়ে মুখ মুছে নিন।

এবার আসেবেন ফেইস মাসাজের পালা। একটি টমেটো নিন। মাঝ থেকে কেটে দুভাগ করে ভেতরের পাল্প সবটুকু বের করে নিন। এর সাথে দিন আধা চামচ লেবুর রস, এক টেবিল চামচ কাঁচা দুধ, সামান্য মধু। সম্ভব হলে এক টেবিল চামচ শসার রসও দিন। লেবু ও টমেটো ন্যাচারাল ব্লিচ হিসাবে কাজ করবে, দুধ যোগাবে ময়েশ্চার, মধু দূর করবে ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ আর শসা কমাবে অতিরিক্ত তেল। যার মধ্যেই হয়ে উঠবে আপনার ত্বক শুরু হয়ে যাবে এক মাসে ফর্সা ও পেয়ে যাবেন রাতারাতি ফর্সা হওয়ার উপায়।

কি খেলে গায়ের রং ফর্সা হয়?

সবজির মধ্যে পালং শাক, টমেটো, ব্রকলি, মিষ্টি ‍আলু এবং করলা খেলে গায়ের রং ফর্সা হয়। কারণ এতে লাইকোপিন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। ডেয়রি প্রডাক্টের মধ্যে দুধ, চানা, টক দই, আর প্রোটিনের মধ্যে ডিম, মাছ, মাংস নিয়মিত খেলেই গায়ের রং ফর্সা হয়।

কি খাবেন গায়ের রং ফর্সা করতে?

ডিম

ডিম খেলে হাড় ভালো থাকে। যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এসব কথা আমি আপনি সবাই জানি কিন্তু ডিমের আরো একটা গুন আছে যা অনেকেই জানেনা। আর তা হল ডিম আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। তাই নিয়মিত আপনার খাবারের তালিকায় ডিম রাখার চেষ্টা করুন। তাহলেই আপনার গায়ের রং ফর্সা হতে শুরু করবে।

সালাদ

আমাদের ত্বকের সতেজতা ও স্বাস্থজ্জ্বল রাখতে ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর প্রয়োজন। আর এই ফাইবারের চাহিদা মিটানো যাই সালাদ এর মাধ্যমে। সালাদে আপনি পাবেন প্রচুর পরিমানে ফাইবার সাথে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আপনার চেহারাকে রাখবে সতেজ। লক্ষ করে দেখবেন এমনি এমনি কিভবে সুন্দর হওয়া যায় সেই উপায় তৈরি হয়ে যাবে আপনার ত্বকের মধ্যে।

গ্রীন টি

শরীরের জন্য অনেক সময় অনেককে গ্রিন টি খেতে বলতে শুনেছেন হইতো কিন্তু গ্রিন টি চেহারা সুন্দর করতেও হেল্প করতে পারে। সালাদ এর মত গ্রিন টি তেও আপনি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাবেন। গ্রিন টি আপনার চেহারার বলি রেখা বা কালো বা কালচে দাগ পড়া থেকে বিরত রাখে ফলে চেহারা সুন্দর দেখায়।

পেঁপে

পেঁপে আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াবে, চেহারা কে উজ্জল করবে। লিভারের যত্নে পেঁপে খাওয়ার কথা বলা হয়, কিন্তু পেঁপে তে প্রচুর ভিটামিন এ থাকায় এটি আপনার চেহারার জন্য উপকারি। পেঁপে ত্বকের মৃত কোষ দূর করে এবং কালচে দাগ দূর করতেও সাহায্য করে।

কিউই

বিদেশি ফল কিউই। কিন্তু দেশেও পাওয়া যায়। এই ফলে আপনি পাবেন ভিটামিন সি যা আপনার ত্বকের কোষ কে হেল্প করে সাথে চেহারার কালচে কালচে দাগ দূর করে। যারা কিউই ফল পাবেন না বা ঝামেলায় জেতে চান না তারা পেঁপে বা ডিম খেলেই রাতারাতি ফর্সা হওয়ার উপায় পেয়ে যাবেন ।

লেবুর রস আর চিনি

লেবুর রস চিপে বের করে নিন। এক চামচ পরিমান লেবুর রসের সাথে এক চামচ চিনি মিশিয়ে মিশ্রণ এর মত করে নিন। মুখে ও হাত পায়ে মাসাজ করুন । দুই মিনিট অপেক্ষা করুন। দুই মিনিট পর ভাল করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে একবার ই যথেষ্ট।

আর পড়ুনঃ অনলাইনে ট্রেনের অগ্রীম টিকিট কাটার নতুন নিয়ম ২০২২

চোহারা নষ্ট হওয়ার কারণ ?

আমাদের জীবনে অনেক কাজে আমরা ব্যস্ত হয়ে পড়ি। যার কারণে আমাদের ত্বকের যত্ন নিতে ভুলে যায়। এজন্য চেহারার সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যায়। বা বিভিন্ন অভ্যাসের কারণেও আমাদের চেহারা নষ্ট হয়ে হচ্ছে। চলুন তাহলে সেই বিষয়টি জেনে নেয়া যাক।

পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব

পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম যে আমাদের শরীরের জন্য কতোটা উপকারী তা বর্ণনা করে শেষ করা যাবে না। একদিন ঠিকমতো ঘুম না হলেই চোখের নীচে ফোলা ফোলাভাব দেখা যায়, চেহারায় ক্লান্তির ছাপ পড়ে তাই আমাদের চেহারা ন্ষ্ট হয়ে যায়। আবার ঘুমটা যদি ফ্রেশ হয়, তাহলে ঘুম থেকে ওঠার পর শরীর, চেহারা একদম ফ্রেশ হয়ে যায়। তাই প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম দেহের ক্লান্তি দূর করে শরীর ও ত্বককে সুন্দর, প্রানবন্ত রাখে এবং প্রকৃতি থেকেই কিভবে সুন্দর হওয়া যায় সেই ‍বিষয়টাই আপনি জানতে পারবেন।

তাপমাত্রার তারতম্য

তাপমাত্রার তারতম্য চেহারা নষ্ট হয়ে যাওয়ার অন্যতম একটি কারণ। শীতে খুব বেশি হিটে অনেকক্ষণ থাকা অর্থাৎ ঠান্ডার কারণে গরম পানির তাপ বা রুম হিটার ব্যবহার করা এবং একইভাবে গরমে এসির মধ্যে খুব বেশী ঠাণ্ডায় অনেকক্ষণ থাকা আমাদের ত্বকের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এতে ত্বকের স্বাভাবিক তাপমাত্রা নষ্ট হয়ে যায় এবং ত্বকের সৌন্দর্য লোপ পায়। এটা কিভবে সুন্দর হওয়া যায় এই প্রশ্নের একটি বড় সমাধান।

তামাক বা অ্যালকোহল বেশি গ্রহণ

বেশি মাত্রায় তামাক, অ্যালকোহল জাতীয় দ্রব্য গ্রহণ করলে চেহারা নষ্ট হয়ে পড়ে। ফলে ত্বকের সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে তারুণ্য হারিয়ে যায়। এবং আপনার সেই তামাক গ্রহন করলে কিভবে সুন্দর হওয়া যায় বলেন বা রাতারাতি ফর্সা হওয়ার উপায়ের কথা বলেন কিছুই কাজ করবে না ।

অতিরিক্ত উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তা করা

আমাদের সবার জীবনেই কম বেশি সমস্যা থাকে। সেটা নিয়ে চিন্তা না করে বরং ভালো থাকার উপায় খুঁজে বের করতে হবে। আপনি যদি অনেক বেশি দুশ্চিন্তা করেন, তবে তা আপনার চেহারায় স্পষ্ট ফুটে উঠবে। দুশ্চিন্তাগ্রস্ত, অবসাদগ্রস্ত মানুষকে দেখলেই বোঝা যায়। ত্বকে, চোখে একটা অবসন্ন ভাব, ক্লান্তি ফুটে উঠে। এতে করে আপনার চেহারা নষ্ট হয় এবং কিভবে সুন্দর হওয়া যায় বা রাতারাতি ফর্সা হওয়ার উপায় দুটি এই বাঁধা প্রাপ্ত হয়।

আর পড়ুনঃ ট্রেনের অনলাইন টিকিট ফেরত দেওয়ার নিয়ম ২০২২

চোহারা সুন্দর করার দোয়া

  • ফজরের নামায ছেড়ে দিলে চেহারার সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যায়।
  • যোহরের নামায ছেড়ে দিলে আয় – রোজগারের বরকত কমে যায়।
  • আসরের নামায ছেড়ে দিলে স্বাস্থ্য নষ্ট হয়ে যায়।
  • মাগরিবের নামায ছেড়ে দিলে সন্তান বিপদগামী হয়ে যায়।
  • এশার নামায ছেড়ে দিলে ঘুমের পরিতৃপ্ততা নষ্ট হয়ে যায়। ( সহীহ্ বুখারী শরীফ)

বস্তুত আল্লাহ তালা মানুষকে সুন্দর গঠানাকৃতি দিয়ে সৃষ্টি করেছেন। এ কথা আল্লাহ পবিত্র কুরআনেই বলেছেন। তবে সৌন্দর্যে কিছু তারতম্য রেখেছেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আয়না দেখার দোয়া শিখিয়েছেন এভাবে اللَّهُمَّ كَمَا حَسَّنْتَ خَلْقِي فَحَسِّنْ خُلُقِي.।

অর্থ, হে আল্লাহ আপনি যেভাবে আমার সৃষ্টিতগত গঠনাকৃতিকে সুন্দর করেছেন সেভাবে আমার চরিত্রকে সুন্দর করে দেন। ইতহাফুল খিয়ারাহ, হাদীস ৫২০০। তবে আপনি চেহারাকে আরো সুন্দর করার জন্য প্রাকৃতিক বা চিকিৎসাগত উপায় গ্রহণ করতে পারেন। সাথে আল্লাহর নিকট দোয়া করতে পারেন। নিজেকে সর্বদিক দিয়ে একজন ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলুন। চেহারা এমনিই কিভবে সুন্দর হওয়া যায় আপনি ভাবতে ও পারবেন না ।

চোহারা সুন্দর করার আমল

আপনি সূরা নূর ৩৫ নং আয়াত প্রত্যেকদিন পাঠ করে দু হাতে ফুঁ দিয়ে মুখে ও অন্যান্য স্থানে মাখবেন। এটি অত্যন্ত পরীক্ষিত আমল, ভূল তেলাওয়াত করা যাবেনা। যে ব্যক্তি সব সময় এ গুণবাচক নাম (اَلْخَالِقُ) ‘আল-খালিক্বু’-এর জিকির করবে; এ নামের জিকিরের বরকতে আল্লাহ তাআলা তাঁর অন্তর ও চেহারাকে উজ্জ্বল করে দেন। যার মধ্যেই আপনি কিভবে সুন্দর হওয়া যায় একটি সঠিক মাধ্যম পেয়ে যাবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *